আর্কাইভ | ফেব্রুয়ারি, 2013

ব্রাহ্মণপাড়ায় মাতালের এক মাসের কারাদন্ড

15 ফেব্রু.
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় এক মদ্যপ মাতালকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ মাসের সামজা নিশ্চিৎ করেছে ব্রা‏হ্মণপাড়া থানা পুলিশ। জানা যায় উপজেলার দুলালপুর গ্রামের মৃত মোঃ জয়দল হোসেন এর ছেলে আবদুল্লা আল মামুন(৩৪) গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাতে উপজেলার দীর্ঘভুমি এলাকায় মাতলামি করার সময় ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার এসআই ইয়াহিয়া সঙ্গীয় ফোর্স তাকে আটক করে। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারী তাকে হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার মাধ্যমে মাদক সেবনের আলামত নিশ্চিত হয়ে উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতে উপসি’ত করেন থানা পুলিশ। এসময় অপরাধ নিশ্চিৎ হওয়ায় তাকে এক

মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালতের বিচারক ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার বড়-য়া বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামীকে গতকাল কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে । ভবিষ্যতে এসব অপরাধের জন্য আরও জোরদার অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

বুড়িচংয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে মোমবাতি জ্বালিয়ে গন জাগরন

14 ফেব্রু.
গত ১৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে যুদ্ধাপরধীদের ফাঁসির দাবীতে সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলা সদরের বসুন্ধরা চত্বরে মোমবাতি জ্বালিয়ে গন জাগরনের সৃষ্টি করা হয়। এ সময় যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবীতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করা হয়। গনজাগরেনে উপসি’ত ছিলেন বুড়িচং উপজেলা আ’লীগ নেতা বিষ্ণু কুমার ভট্ট্রাচার্য, দেলোয়ার হোসেন বাচ্চু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জি.এম.জাকারিয়া,  যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান খাঁন,

সফিকুর ইসলাম ভ’ইয়া, ফারুক খাঁন মেম্বার, পিন্টু খাঁন, মোস্তফা কামাল, নজরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মতিউর রহমান খাঁন রুমেল, সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক বাছির খাঁন, জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা হিমেল খাঁন, আবদুল জলিল, মোহন, রুবেল, জাহাঙ্গীর, খোরশেদ খাঁন, জনি, রুবেল খাঁন, কাজী মাসুদ, মাহাবুব, জুয়েল প্রমূখ। এছাড়া গনজাগরনে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপসি’ত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিয়ে জাতীকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে। মোঃ জহিরুল হক বাবু-বুড়িচং, কুমিল্লা ।

ব্রা‏হ্মণপাড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান

14 ফেব্রু.
কুমিল্লা ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা সদরে উপজেলা পরিষদ মডেল স্কুলে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা হক পপি, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, প্রধাণ অতিথি বক্তব্যে বলেন ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ স্কুল হিসেবে উপজেলা পরিষদ মডেল স্কুলকেই ঘোষনা করা হয়েছে। এই স্কুলের

ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক ও অভিভাবকের সহযোগীতায় প্রতি বছর আরো ভাল ফলাফল করতে হবে। এই স্কুল থেকে লেখাপড়া করে অনেকেই মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন ভাল ভাল যায়গায় লেখাপড়া ও চাকুরী করছে। অভিভাবকরা সচেতন হলে আরও ভাল ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। এসময় বিগত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৯জন কৃতি শিক্ষার্থী এবং বৃত্তি প্রাপ্তদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।

আড়াই বছর ধরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে , ব্রা‏‏হ্মণপাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল

14 ফেব্রু.
কুমিল্ল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস’্য কমপ্লেক্সে নিউমুনিয়া রোগীর প্রাদূর্ভাবে বাচ্চা ও বৃদ্ধরা মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছে, অথচ পাশেই আড়াই বছর যাবত ধরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে নব নির্মিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন। ২০০৯ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করতে পাঁচ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৯ শয্যা বিশিষ্ট একটি পূর্নাঙ্গ তিনতলা হাসপাতাল ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। ২০১০ সালে ভবন নির্মানের কাজ শেষ হওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়। আড়াই বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও উদ্বোধন না হওয়ায় ৫০ শয্যার স’লে ৩১ শয্যার সেবা পাচ্ছে উপজেলার ৩  লক্ষ মানুষ। রোগীদের চাপ বেশী থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে শিশুসহ অন্যান্য রোগীরা। এতে

একদিকে উপজেলাবাসী স্বাস’সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে পড়ে থেকে অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ৫ কোটি টাকায় নির্মিত সরকারী সম্পদ ভবনটি। ৩১ শয্যার বর্তমান স্বাস’্য কমপ্লেক্সের সাথে ১৯ শয্যার নতুন এই ভবন চালু হলে ৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হতো। এর ফলে পদায়ন করা হতো মেডিসিন, সার্জারী, চর্ম ও যৌন রোগ, গাইনী, শিশু, চক্ষু, নাক কান গলা ও আর্থপেডিক বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। এছাড়াও অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারের মাধ্যমে যেকোন  অস্ত্রোপচার  করা যেতো। উপকৃত হতো এলাকার জনগন, অল্প টাকায় পেতো স্বাস’্য সেবা। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ গুলো নিজেদের চাষাবাদের জমি, ভিটি বাড়ী, বিক্রি করে কুমিল্লা কিংবা ঢাকায় যেতে হয়। এতে করে শুধু তাদেরি কষ্ট হয় তা নয়, কুমিল্লা শহড়ের ডাক্তারদের রোগীর চাপও বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে স্বাস’্য কমপ্লেক্সটিতে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। গুরুত্বপূর্ন ৩৫টি পদ খালী রয়েছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল অফিসার নেই, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার নেই, সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেই, ৪জন সহকারী সার্জনের পদ শূন্য রয়েছে। এনেসথেসিয়া ডাক্তার জনবলে থেকেও ২০০৩ সাল থেকে প্রেষনে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে কর্মরত রয়েছেন। এখানে কোন অস্ত্রোপচার করা হয়না। ডেন্টাল সার্জন ও ডেন্টাল চিকিৎসা দেওয়ার মত কোন যন্ত্রপাতি নাই। একমাত্র এক্সরে মেশিনটি বেশীর ভাগ সময় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস’্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: আবু জাহের বলেন, নব নির্মিত ৫০ শয্যা স্বাস’্য কমপ্লেক্সটির নতুন ভবন উদ্বোধন হলে রোগীদের চাপ কমে যেত। অপারেশন থিয়েটার সহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পদায়ন করা হতো, এলাকার মানুষ পেত উন্নত স্বাস’্য সেবা। নব নির্মিত হাসপাতালের উদ্বোধন করে পরিপূর্ন স্বাস’্য সেবা নিশ্চিত করার জোর দাবী এলাকার আপামর জনসাধারনের।। মিজানুর রহমান সরকার, ব্রা‏‏হ্মণপাড়া  ॥

বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন হত্যা মামলা থেকে জামিন লাভ

13 ফেব্রু.
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদ হোসেন পলাশ হত্যা মামলায় কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন।
জানা গেছে, গত ৩ ডিসেম্বর বুড়িচং উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সারোয়ার আলম পলাশ প্রতি পক্ষের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন হয়। ওই মামলায় বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে আসামী করে পলাশ হত্যা মামলায় আসামী করা হয়। এ মামলায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন তিনি। আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন

এডঃ মাসুদ সালাহউদ্দিন, এডঃ আব্দুর রাজ্জাক, এডঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, এডঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ পিন্টু, এডঃ আহম তাইফুর আলম, এডঃ রফিকুল ইসলাম, এডঃ সেলিম হোসেন, এডঃ ফারুক আহম্মেদ, , এডঃ মোবারক হোসেন প্রমুখ। জামিন লাভের পর প্রতিক্রিয়ায় মোঃ সাজ্জাদ হোসেন  বলেন, ন্যায় ও সত্যের জয় হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ । আমি পলাশ হত্যা মামলার প্রকৃত খুনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি এবং পলাশের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোস্তাফা মাস্টার, আঃ ওহাব মাস্টার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শাহজাহান চেয়ারম্যান, আঃ সালাম চেয়ারম্যান , আব্দুর রহমান (রব) চেয়ারম্যান, মোঃ শাহ আলম চেয়ারম্যান, সিরাজুল ইসলাম ঠিকাদার, ডাঃ আবু মুসা, আবু তাহের চেয়ারম্যান, নুরুল  ইসলাম চেয়ারম্যান, জাকির হোসেন জাহের চেয়ারম্যান, হাজী আঃ রশিদ , নোয়াব মিয়া মাস্টার, আবুল কাসেম মাস্টার,  হাজী খোরশেদ আলম, আবু সাঈদ, মফিজুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল করিম, মুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেক বিডিআর, মুক্তিযোদ্ধা ফজর আলী, অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওঃ সলিম উল্লাহ, অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যক্ষ আবু ইউছুফ, বিষ্ণু কুমার ভট্টাচার্য, আঃ জলিল, মো: শাহআলম, রেজাউল করিম, দেলোয়ার হোসেন (ধনু), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম এন জাকারিয়া, মোঃ কামাল হোসেন, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, ওমর ফারুক, এরশাদ হোসেন ভুইয়া, ইরানী জহির,  মজিবুর রহমান, আব্দুর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি কিংকর দেবনাথ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ, অহিদুর রহমান অকি, ফটিক সহ বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী ও সমর্থক উপসি’ত ছিলেন। # জেহাদ হোসেন খোকন, বুড়িচং #

ব্রা‏হ্মণপাড়ায় শাহ আলম মাষ্টারের শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল

13 ফেব্রু.
কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক এর শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল গত ১৩ ফেব্রুয়ারী দুলালপুর এস.এম.এন্ড.কে উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।এসময় উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সারোয়ার খান, পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক আবু হানিল, বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক এ.কে.এম. ইলিয়াছ সরকার, তারেক মোহাম্মদ ছানাউল হক, আবু কাউছার, নাজমুল হাসান ভূইয়া, এনামুল হক ভূইয়া, শিক্ষক মিজানুর রহমান, গোলজার হোসেন, ইন্দ্রজিৎ বাবু, মাসুদ আলম, জাহিদুল ইসলাম পলাশ, রাশেদুল ইসলাম আশ্রাফ, গোলাম বিকরিয়া বিল্লাল জাহাঙ্গীর আলম সরকার, উপসি’ত ছিলেন শহীদ উল্লাহ গার্ড শাসছুল হক মেম্বার, গাজী জসিম উদ্দিন, শাহীন, আল আমিন রনি, বেনজির সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীগণ। তার পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তার ভাই আবু জাহের ও ছেলে মো: শামিম। এসময় বক্তারা শাহ আলম মাষ্টারের আত্তার শান্তি কামনা করেন এবং তার জীবদ্দশায় ওই এলাকায় তার অবদানের কথা স্বরণ করে বলেন, শাহ আলম মাষ্টার ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান শিক্ষক। যিনি সর্বদায় সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে পৌছে নিজ দায়িত্বের প্রতি সদা যত্নবান থাকবেন। একজন ছাত্রকে মন দিয়ে লেখাপড়া করাতেন। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে সর্বদায় শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ছিলেন। শিক্ষকের স্মৃতি বিজরিত দিন গুলোক কথা স্বরণ করে সকল শিক্ষার্থীরা কান্না বিজড়িত কন্ঠে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন।

বুড়িচংয়ে সড়ক দূঘর্টনায় যুবদল নেতা সহ আহত – ৩

12 ফেব্রু.
কুমিল্লা – বুড়িচং – মিরপুর সড়কের কুমিল্লা সদরের পালপাড়া এলাকায় গত ১২ ফেব্রুয়ারী রোববার রাত সাড়ে ৭টায় একটি কুমিল্লাগামী যাত্রীবাহী সিএনজিকে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা মাটিবাহী বেপোয়ারা গতির  একটি ট্রাক্টর চাপা দিলে বুড়িচং উপজেলা যুবদল নেতা সহ ৩ জন যাত্রী মারাত্মক ভাবে আহত হয়। স’ানীয়রা জানায়, কুমিল্লা – বুড়িচং – মিরপুর সড়কের কুমিল্লা সদরের পালপাড়া এলাকায় গত রোববার রাত সাড়ে ৭টায় একটি কুমিল্লাগামী যাত্রীবাহী সিএনজিকে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা মাটিবাহী

বেপোয়ারা গতির  একটি ট্রাক্টর চাপা দিলে বুড়িচং উপজেলা যুবদল নেতা সহ ৩ জন যাত্রী মারাত্মক ভাবে আহত হয়। এসময় বেপোয়ারা গতির মাটিবাহী ট্রাক্টরটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। স’ানীয়রা  এগিয়ে এসে আহতদেরকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ডা. খাজা মিয়াকে কুমিল্লার মুন হসপিটালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে – আহত খাজা মিয়াকে রাতে অস্ত্রপচার করা হয়েছে। এখন ডা. খাজা মিয়া আশংঙ্খা মুক্ত।। সৌরভ মাহমুদ হারুন , বুড়িচং  ।।

আঙ্গিনায় সবজি চাষে ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাফল্য

12 ফেব্রু.
শত ব্যস্ততার মাঝেও সরকারী বাস ভবনের আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে দৃষ্টিনন্দন সফলতা দেখিয়েছেন ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। উপজেলার বিভিন্ন লোকের কাছে এই সফলতার কথা শুনে সবজি বাগান দেখতে গেলে নির্বাহী কর্মকর্তা এ’প্রতিনিধিকে বলেন, আমার বাসার সামনে কিছুটা খালী যায়গা পড়ে ছিল। আমি বেশ কিছুদিন যাবৎ লক্ষ করে দেখি এখানে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা পড়ে অস্বাস’্যকর পরিবেশ তৈরী করছে। পরে ২-১জন লোক নিয়ে পাশের পুকুর থেকে কচুরিপনা, গোবর সংগ্রহ করে স’ানীয় প্রযুক্তিতে শাক সবজি ও ফুলের বাগান করি। এতে

আমার অবসর সময়ে কায়িক পরিশ্রম হওয়ার পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এখানে ফুল কপি, বাঁধা কপি, টমেটো, ধনে পাতা, লাউ, শিম, কালো বেগুন, পেপে, লেবু সহ বহু জাতের শাক সবজি রয়েছে। এখন বিষ মুক্ত তরতাজা সবজি খাচ্ছি। আমার চাহিদা পূরণ করেও অনেককেই উপহার দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, মানুষের ব্যস্ততার শেষ নেই। ব্যস্ততার মাঝেও কেউ যদি ইচ্ছে করে, তাহলে সে আমার মত পড়ে থাকা আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে নিজের চাহিদা মেটাতে পারে। এতে তেমন কোন মূলধনেরও প্রয়োজন নেই। সবজি চাষের পাশাপাশি আকর্ষণীয় ফুলের বাগানের চাষও তিনি করেছেন। ব্রা‏হ্মণপাড়ার মত প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এত সুন্দর ফুলের বাগান আছে তা না দেখলে বিশ্বাস করবে না। তিনি বলেন আমি সবজি ও ফুলের বাগানে অবসর সময়ে কাজ করে কায়িক পরিশ্রম ও মনের আনন্দ উভয় দিকেই সন’ুষ্ট।

যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবীতে ব্রা‏হ্মণপাড়ায় বিভিন্ন স্তরের মানুষের ৩ মিনিট নিরবতা পালন

12 ফেব্রু.
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীর বিচারের গনদাবীতে শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের সাথে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশে সারা দেশের ন্যায় গত ১২ ফেব্রুয়ারী ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স’ানে বিকাল ৪টা থেকে ৩ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় এলাকার সকল যানবাহন নিজ স’ানে রেখে অনেকেই দাড়িয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। উপজেলার সিএনজি ষ্ট্যান্ডে সচেতন নাগরিক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীগণ ছাড়াও ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম সহ

উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপজেলার সিএনজি ষ্ট্যান্ডে দাড়িয়ে নিরবতা পালন করেন, উপজেলার রশিদ মার্কেট, হাজী মার্কেট, তালেব আলী সুপার মার্কেটের বিভিন্ন দোকান, বাজার এবং রাস্তাঘাটের অনেক সাধারণ মানুষ ৩ মিনিট দাড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করেন, উপজেলা প্রেস ক্লাবের কর্মরত সকল সাংবাদিকগণ দাড়িয়ে নিরবতা পালন করে সময়ের গণদাবীর সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। এই উপলক্ষ্যে বিকেলে উপজেলা সদরের মেজর গণি চত্তরে যুদ্ধাপরাধীদের ধিক্কার জানিয়ে গান গেয়ে পুত্তলিকা দাহ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে ধর্ম, রাজনীতি, ৪৭, ৫২, ৭১ এর বহু স্মৃতি রয়েছে। আমরা এসব ইতিহাস হৃদয়ে ধারণ করে স্বজাতির উপর হামলাকারী বর্বর, মাথা মোটা, রাজাকার আলবোদর, আল শামসদের মধ্য থেকে চিহিৃন যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। পাশাপাশি সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ফাঁসি চাই। এসময় তারা .. ফাসী ফাসী ফাসী চাই… রাজাকারের ফাসী চাই…. তুই রাজাকার….তুই রাজাকার সুরে সুরে এলাকায় বিক্ষোভের জোয়ার তুলে প্রকম্পিত করে তুলেন। উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকগণ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের পাশাপাশি সাগর-রুনী হত্যার দ্রুত বিচারের দাবী জানান।

ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে মুসলিম সমাজকে ধোকা দিচ্ছে এ সরকার ..শওকত মাহমুদ

12 ফেব্রু.
সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ নাম মুছে ফেলা হয়েছে। সংবিধানে বিসমিল্লাহ ফিরে আনার জন্য দেশের মুসলিম সমাজকে আজ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে মুসলিম সমাজকে ধোকা দিচ্ছে সরকার। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। কিস’ ইসলামের বিরোদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের ছেরে দেওয়া হবে না। গত ১১ ফেব্রেুায়ারী সারা দিনব্যাপী  বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগ করে

বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া বিএনপির সমন্বয়ক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শওকত মাহমুদ দুলালপুরের একটি ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে এ কথাগুলো বলেন। তিনি বুড়িচং উপজেলার মোকাম, ষোলনল, বুড়িচং সদর,ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ,ব্রাহ্মণপাড়া সদর ও দুলালপুর ইউনিয়নে গনসংযোগ করেন। রাতে দুলালপুর গ্রামে যুবদল নেতা আবুল বাসারের বাড়ীতে বাৎসরিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপসি’ত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং জামাল হোসেন এর পরিচালনায়  বিশেষ অতিথি ছিলেন বুড়িচং বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান,  ব্রাহ্মণপাড়া বিএনপির সদস্য সচিব শাহআলম খোকন, সাংগঠনিক দায়িত্বে আমির হোসেন। উপসি’ত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া বিএনপির  সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরকার জহিরুল হক মিঠুন, যুগ্মআহবায়ক মহসিন সরকার, আলী আহাম্মদ, এনামুল হক মাসুদ, বুড়িচং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক সানাউল্লাহ, বিএনপি নেতা মোঃ শাহআলম,মফিজুল ইসলাম, হালিম খাঁন,সফিউল্লা, বুড়িচং থানা যুবদলের  সেক্রেটারী জামাল হোসেন,সহসভাপতি আকরোজ্জামান সিপন, রিপন, ব্রাহ্মণপাড়া যুবদল সেক্রেটারী মনিরুল ইসলাম সরকার, সহসভাপতি কবির হোসেন, মোস্তফা খাঁন, যুগ্ম সম্পাদক আবু ইউসুফ বাবুল, বুড়িচং যুবদল  যুগ্ম সম্পাদক আবু নাছের, নাজিম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক আবু জাহের সিপু, ব্রাহ্মণপাড়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনিসুর রহমান ভুইয়া রিপন, বুড়িচং স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি  জামাল হোসেন, ব্রাহ্মণপাড়া যুবনেতা  মজিবুর রহমান লিটন, মাসুদ আলম, লোকমান হোসেন, বুড়িচং ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেন, মিয়া মোহাম্মদ সোহাগ পারভেছ,আমির হামজা অরুন, নাজিম মাহমুদ নছির, মোঃ পারভেছ, জিএইচ জোবায়ের, মোঃ কাইয়ুম, আবদুল আলীম, ব্রাহ্মণপাড়া ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক  ফারুক আহাম্মদ, এমদাদুল হক সবুজ,   মাহাবুব চৌধুরী বাবু,তাজুল ইসলাম, শরাফ উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, ফজল আহাম্মদ, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আলী, জলিল, বাবলু মৈশান, শামিম, উজ্জল, মিঠু, বায়েজিদ, মহসিন, সালাউদ্দিন, শাহজালাল, কায়েস, রায়হান, রহিম, আলআমিন, বাবলু, নীরু, এমরান, লিটন, সাইফুল, হোসেন,  নাদিম, নুরে আলম, বাবুল, শাহিন, সুমন, দেলোয়ার, আশিকসহ বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া ১৮ দলীয় জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। জাকির হোসেন, বুড়িচং ॥