গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো: কাউছার আহম্মেদ, বোর্ড অব ডিরেক্টর ডা: রেজাউল করিম, ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস’্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা: গোলাম সারোয়ার সরকার, ব্রাহ্মণপাড়া প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল নয়ন, ভগবান সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম, হিরন মিয়া, হাফিজুর রহমান, বিল্লাল হোসেন মাষ্টার, আজাদ হোসেন, হারুন অর রশিদ সহ গ্লোবাল ল্যান্ড ডেভলপমেন্টের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ইবনেসিনা মেডিকেল হলের সম্পৃক্ত সদস্যগণ। এসময় ইবনেসিনা মেডেকেল সেন্টারের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে স্বাস’্য সেবা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের লক্ষ্যে মূল্যবান আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ব্রাহ্মণপাড়ায় ইবনে সিনা মেডিকেলের মতবিনিময় সভা
30 নভে.ব্রাহ্মণপাড়ায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ র্যালী ও মানব বন্ধন
29 নভে.নীরবতা আর নয়- আসুন নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাই রুখে দাঁড়াই, এই প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারী নির্যাতন নির্মূলকরণে আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান পক্ষ ২০১২( ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত) পালনের অংশ হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশাল র্যালী
উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর পূর্বে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন সড়কে মানব বন্ধন করা হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, থানা অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার বড়-য়া, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা তানজুমা পারভীন লুনা, ব্র্যাক উপজেলা ম্যানেজার মমতাজ নাসরিন, উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার আনিসুর রহমান, আ: কাদের চৌধুরী, কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক আবদুল আলীম খান, মিজানুর রহমান সরকার, সৈয়দ আহাম্মদ লাবলু, ইসমাইল নয়ন সহ এলাকার সচেতন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় বক্তারা বলেন নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপুরক। একজন মানুষের দুটি হাতের মধ্যে কোন হাতের গুরুত্বই কম নয়। নারীরা পুরুষের সাথে প্রতিযোগীতা করে নয়, মানুষ হিসেবে বেচে থাকার জন্য নারীদেরকে মূল্যায়ন করা সকল পুরুষের কর্তব্য। একজন নারী নির্যাতিত হলে তার জন্য অনেক পুরুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ায়। নারীদের লেখাপড়া, পরিচর্যা সহ জীবনের প্রতি মুহুর্তে পুরুষের সাহায্য প্রয়োজন। তেমনি নারী ছাড়া পুরুষদের জীবন পরিপূর্ন হতে পারে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারী নির্যাতনের জন্য নারীদের সচেতনতা দায়ী থাকে। বৌ-স্বাশুরীর বিবেধ, বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করা, এসব ক্ষেত্রে নারীদের সচেতনতা প্রয়োজন। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সংশ্লিষ্টদের স্বীয় অবস’ান থেকে সাহায্যের আহবান জানিয়ে র্যালীর মাধ্যমে কায্যক্রম সমাপ্ত হয়।
ব্রাহ্মণপাড়ায় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ মেয়ের পিতা মুচলেকা দিয়ে ছাড়
28 নভে.কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের বাড়ানী এলাকায় গত বুধবার (২৮ নভেম্বর) ১১ বৎসর বয়সী ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর বিয়ে পন্ড করে মেয়ের পিতাকে প্রশাসনের সহায়তায় আটক করে থানা পুলিশ। পরে বাল্য বিয়ে দেবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় মেয়ের পিতা আ: মান্নান।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাড়ানী গ্রামের আ: মান্নানের মেয়ে স’ানীয় স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী আমেনা বেগম (স্মৃতি) (১১) এর সাথে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে বাহার মিয়া (২৪) এর বিয়ে ঠিক হয় ২৮ নভেম্বর। বাল্য বিয়ের এই খবর পেয়ে স’ানীয় সাংবাদিক এবং উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির লোকজন মেয়ের বাড়ীতে গিয়ে বাল্য বিয়ের কু-প্রভাব সম্পর্কে মেয়ের অভিভাবকদেরকে অবগত করে বাল্য বিয়ে বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায়। এসময় মেয়ের মামা বুড়িচং উপজেলার বানাসুয়া গ্রামের মেডেকেল কোম্পনীতে চাকুরীজীবি নাজমুল বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। সে নিজেকে বাল্যবিয়ে বন্ধে কাজ করা অন্নেশা সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচয় প্রদান করে এবং বাল্য বিয়ে দেয়ার পেছনে যুক্তি প্রদর্শন করে আমেনার বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে অটুট থাকে। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সহযোগীতায় মেয়ের বাড়ীতে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়। তাতেও মেয়ের অভিভাবকগন বিয়ের সিদ্ধান্তে অটুট থাকায় গতকাল ২৮ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ নিয়ে বর পক্ষের সামনে থেকে মেয়ের পিতা আ: মান্নানকে আটক করে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় লকাপে আটক করে। এই খবর পেয়ে মাধবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুলতান আহাম্মদ সহ এলাকার ১০জন সাহেব সর্দার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে উপসি’ত হয়ে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে ক্ষমা প্রার্থনা করে বাল্য বিয়ে দেবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। এসময় ওই এলাকার গ্রাম পুলিশ সৈয়দুর রহমানকে তার ছেলের নামে অভিযোগে প্রেক্ষিতে আটক করা হলে সে ভবিষ্যতে তার ছেলে দেলোয়ারকে সংশোধন করবে মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। এই ব্যাপারে পুনরায় আইন অমান্যকারীদের জন্য আরও কঠোর শাস্তির কথাও উল্লেখ করেন নির্বাহী কর্মকর্তা।
ব্রাহ্মণপাড়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা
28 নভে.উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপসি’ত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তানজুমা পারভীন লুনা, অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার বড়-য়া, মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহাম্মদ, মালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী জসিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আবদুল আলীম খান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল নয়ন
প্রমুখ। এসময় উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন মহলের ভ’মিকা শীর্ষক আলোচনা করা হয়। এছাড়া গতকাল চান্দলা বারানী গ্রামের আ: মান্নানের মেয়ে আমেনা বেগম (১১) এর বাল্য বিয়ের খবর সঠিক সময়ে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দেয়ায় উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের ভ’য়সী প্রশংসা করেন। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানদের সজাগ দৃষ্টি বাল্য বিয়ে রোধ কল্পে ভ’মিকা রাখার কথাও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় থানার অফিসার ইনচার্জের সু-দৃষ্টি কামনা করা হয়। শেষে নারী ও শিশু নির্যাতনে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ অবস’ান থেকে এগিয়ে এসে কাজ করার আহবান জানিয়ে সভা সমাপ্ত করেন নির্বাহী কর্মকর্তা।
ব্রাহ্মণপাড়ায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
26 নভে.তিনি তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে উল্লেখ করেন, গত চলতি বৎসর ২৪ নভেম্বর আমাকে জড়িয়ে বাগড়া মাদরাসার সম্পত্তি রক্ষার দাবীতে মানব বন্ধন করেন এবং ২৫ নভেম্বর এই সংবাদটি প্রকাশিত হয় যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি উল্লেখ করেন, বাগড়া দারুল উলুম ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছেন। বাস্তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে, আমি বিভিন্ন সময় এলাকার লোকজন থেকে সম্পত্তিটি ক্রয় করি যার কাগজপত্র আমার কাছে রক্ষিত আছে। আমি
মাদরাসার কোন সম্পত্তিতে ইমারত তৈরী করিনি। আমার নিজের সম্পত্তিতে ইমারত নির্মান করেছি। মাদরাসা অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান কোমলমতী ছাত্রছাত্রীদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সত্যকে গোপন রেখে আমার বিরুদ্ধে একটি মানব বন্ধন করায় যাহা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমি এই মিথ্যা মানব বন্ধন ও মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এই ভ’মিটি নিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও আমার মধ্যে বিভিন্ন সময় মামলা হয়েছে এবং মামলায় আমার পক্ষে রায় এসেছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আপিল করে। আপিলের রায়ে ৫৯৩ খতিয়ানে ৪,৫, দাগে ১৬ শতক ভিটি ভ’মি আমার পক্ষে বৈধ ঘোষনা করে এবং মাদরাসার বিরুদ্ধে চিরস’ায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে। আমার দখলীয় ওই ভ’মিতেই আমি ইমারত নির্মান করেছি।
ব্রাহ্মণপাড়ায় আশুরা উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহফিল
26 নভে.আলমগীর হোসেন ভ’ইয়া, উপসি’ত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আ: খালেক, ডা: মো: ইউনুস, ফরিদ উদ্দিন মেম্বার, পলাশ, খোকন, হারুন অর রশিদ, হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মনির, জাহাঙ্গীর, জুলহাস, শাহ আলম, বিল্লাল, ওমর ফারুক, রবিউল, হেলাল, ডা: শোভা, নজরুল, আক্তার, আনিছ, শফিক, বুলবুল, তকদীর, রতন, নাজমুল হাসান, বাহারুল, শাহ পরান আলমগীর, শামিম, গোলাম মোস্তফা, মমিন সরকার, আমির হোসেন, কাউছার, নোমান, হুমায়ূন কবির, লিটন মাষ্টার, সুমন, খলিল, আবুল, মালেক, খালেক, ফারুক, স্মুতি বিল্লাল, শিপন, বাবুল, রিপন, তৈয়ব আলী, মিজান হুজুর, ডা: রফিক, ছালাউদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম সহ পশ্চিম বাজারের সকল ব্যবসায়ী এবং এলাকার মুসুল্লীয়ানেকেরামগণ। এসময় পবিত্র আশুরায় ইসলামের ইতিহাসে স্বরনীয় হওয়ার বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা শেষে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি উপসি’ত মুসুল্লীয়ানেকেরামদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন। শেষে উপসি’ত সকলকে তাবারক হিসেবে প্যাকেট বিরিয়ানী বিতরণ করা হয়।
ব্রাহ্মণপাড়ায় জামাত বিরোধী আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল
26 নভে.উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. দেওয়ান আব্দুল জলিল, সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক হুমায়ূর কবির, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সারোয়ার খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক জমির হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা শহীদ মিনার চত্তরে এড. দেওয়ান আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভা পরিচালনা করেন মনিরুল হক। এসময় বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃবৃন্দ সহ আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ইসরাফিল ভ’ইয়া, জহিরুল ইসলাম, আজাদ ভ’ইয়া, হাবিব সরকার, শ্রমিক লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু সর্দার, স্বেচ্ছা সেবক লীগ আবু হেনা মোস্তফা শাহীন। উপসি’ত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা কাশেম মেম্বার, শফিক মেম্বার, জলিল মেম্বার, আমজাদ মেম্বার, এড. মাহবুব, এড. জাকির, এড. শাহজাহান। যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম খোরশেদ, জামাল হোসেন, জয়নাল আবেদীন, জহির সর্দার। স্বেচ্ছা সেবক লীগের ছাইদুল হক জুয়েল, আবুল কাশেম, ভিপি জাকির, কাজল সরকার, ছাত্রলীগ নেতা হাবিব খান চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আলী হোসেন, সোহেল মোস্তফা মিয়াজী, আলী আহাম্মদ, মমিনুল ইসলাম মুমিন, বিল্লাল হোসেন সরকার, শাহাদাৎ হোসেন রনি, ফোরকান আহমেদ সবুজ, জাহিদুল ইসলাম পলাশ, রাশেদুল ইসলাম, বাপ্পী, আ: জলিল, আবু কালাম, শরিফুল আলম লিটন সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা জামাতের রাজনীতি আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবী জানিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানান।
ব্রাহ্মণপাড়ায় ডাক্তারের অবহেলায় রুগী মৃত্যুর অভিযোগ
26 নভে.কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা বাজারের রুমা মেডিক্যাল হলের পল্লী চিকিৎসকের অবহেলার কারনে চারিপাড়া গ্রামের এক রুগীর মৃত্যুর অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেছে মৃত আ: মজিদের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমান।
অভিযোগ ও স’ানীয় সূত্রে জানা গেছে দক্ষিণ চান্দলা চারিপাড়া গ্রামের আ: মজিদ ২২ নভেম্বর দুপুরে চান্দলা কৃষি ব্যাংক হইতে বয়স্ক ভাতা উত্তোলন করে বাড়ী ফেরার পথে চান্দলা সিএনজি ষ্ট্যান্ডে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় পতিত হয়। এসময় তার মাথায় আঘাত লেগে রক্তাক্ত অবস’ায় তাকে উদ্ধার করে দক্ষিণ চান্দলা রুমা মেডিক্যালের
পল্লী চিকিৎসক ইকবাল হোসেনের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। পল্লী চিকিৎসক ইকবাল হোসেন আহত মজিদ মিয়ার মাথায় সেলাই করে রোগীর অভিভাবকদেরকে বলে, ভাল হয়ে যাবে। চামড়া কেটে গেছে আমি সেলাই করে দিয়েছি। এই কথা বলে রোগীর অভিভাবকদের শান্তনা দিয়ে দূর্ঘটনার জন্য দায়ী মোটর সাইকেল আরোহীদের সাথে সলা পরামর্শ করে তাদের কাছ থেকে চিকিৎসার খরচ রেখে ছেড়ে দেয়। ডাক্তারের শান্তনায় আহত মজিদকে নিয়ে তার লোকজন বাড়ী ফিরে যায়। বাড়ী নেয়ার পর আহত মজিদ কাশি দিলে তার মাথার সেলাই ছিড়ে যায় এবং রক্ত ক্ষরন হতে থাকে। এসময় মোবাইল ফোনে ডাক্তার ইকবালের সাথে যোগাযোগ করলে সে তার লোক দিয়ে রোগী আ: মজিদের বাড়ীতে পাঠিয়ে পুন: শান্তনা দেয়। পরবর্তীতে রোগীর অবস’া অবনতি হতে থাকলে রোগীর লোকজন আহত মজিদ মিয়াকে প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস’্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার অবস’া আশংকাজন দেখে কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ব্যাপারে নিহত মজিদের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে তার পিতার মৃত্যুর জন্য ডা: ইকবাল হোসেনের অবহেলাকে দায়ী করে বিচার প্রার্থী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান অভিযোগের তদন্তের জন্য অভিযুক্ত ডাক্তারের চিকিৎসক হিসেবে বৈধতার প্রমান সহ কারণ দর্শিয়ে ২৭ নভেম্বর নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে উপসি’ত হওয়ার জন্য লিখিত নোটিশ করেন। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক ইকবাল হোসেন নিজেকে নির্দোশ দাবী করে জানান, দূর্ঘটনার পর আমার কাছে নিয়ে আসার পর রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। আমি তাদেরকে কোন শান্তনা দিয়ে বাড়ী পাঠাইনি।
ব্রাহ্মণপাড়ায় স্বেচ্ছা শ্রমে রাস্তা নির্মান
25 নভে. কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার উত্তর তেতাভ’মি গ্রামে গতকাল ২৪ নভেম্বর ব্যতিক্রমী উদ্দ্যোগে ৩০জন যুবক স্বেচ্ছা শ্রমে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেন।
জানা যায়, উত্তর তেতাভ’মি মুসলেম মিয়ার দোকান থেকে পূর্ব দিকে আবু তাহেরের বাড়ী পর্যন্ত আধা কিলোমিটারের চেয়েও বেশী মাটির রাস্তা নির্মাণ করেন স’ানীয় যুবকরা। এদের মধ্যে রয়েছে মো: মনির হোসেন, মুমিনুল ইসলাম, মোহন মিয়া, হাজী তারা মিয়া, আ: মালেক, আবুল কালাম, মো: জাহাঙ্গীর আলম, মো: জমির হোসেন, মাইন উদ্দিন উজ্জাল, মিজান, শাম মিয়া সহ আরও অনেকে। এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে জন দূর্ভোগের সৃষ্টি করায় সরকারী ভাবে রক্ষনাবেক্ষনের প্রচেষ্টায়
ব্যর্থ হয়ে এলাকার এসব যুবক একত্রিত হয়ে রাস্তাটি স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে নির্মানের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেন এবং গতকাল তা বাস্তবায়িত করেন। তাদের এই উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এলাকার লোকজন বলেন, বহুদিন পর এলাকার মানুষের একতার একটি ফল এই রাস্তা নির্মান। বহু পূর্বে কৃষি কাজ, বাড়ী নির্মাণ সহ বিভিন্ন কাজে টাকার বদলে একজন অন্য জনের বদলী সহায়তায় সম্পন্ন হত। এখন টাকার চুক্তিতে কাজ হয়। নিজেদের সমাজের কাজ স্বেচ্ছা শ্রমে রাস্তা নির্মান করে ব্যতিক্রমী একটি উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে একটি অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স’াপন করেছে। এভাবে মাদক নির্মূল সহ সমাজের নানা সমস্যায় সকলে এগিয়ে এলে সমাজ অনেক সুন্দর হতে পারে।
ব্রাহ্মণপাড়ায় জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ ও আলোচনা সভা
25 নভে.স্লোগান নিয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রশিদ মার্কেটের সামনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট দেওয়ান আব্দুল জলিল, বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব আবু তাহের, সাবেক সভাপতি সৈয়দ আ: কাফি, এড. ছিদ্দিকুর রহমান, এড. আব্দুল বারী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী জসিম উদ্দিন, ব্যারি: সোহরাব খান চৌধুরী, শাহজাহান মেম্বার, মনির চৌধুরী, মানজারে আলম রিপন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিব খান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, সভা পরিচালনা করেন ফোরকান আহমেদ সবুজ, উপসি’ত ছিলেন শাহীন খান, নবীর হোসেন, মো: খলিল, জয়নাল আবেদীন, জামাল হোসেন, সোহেল, আবুল কাশেম প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন বক্তারা দেশের চলমান অরাজকতার জন্য দায়ী জামাতের রাজনীতি আইনী ভাবে নিষিদ্ধ করার জোর দাবী জানান। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যারা আওয়ামীলীগ করে তারা সবাই একত্রে মিলে মিশে দল করতে চাই। উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিরোধ নিরসর কল্পে অচীরেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। বিভিন্ন নেতারা তাদের বক্তাব্যে আওয়ামীলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গুলোর নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনার দাবী জানান।