ব্রা‏হ্মনপাড়ায় ভাল নেই মৃৎ শিল্পীরা

18 ফেব্রু.
মাটি আর মানুষের সম্পর্কে ক্রমে মানব সভ্যতার উন্নতি ঘটেছে। চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেই মৃৎ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। সময় ও সভ্যতায় বদলে দিয়েছে এই শিল্পের সাথে জড়িত হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকা। এখন তারা পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে জীবিকার সন্ধানে নিয়োজিত হচ্ছে বিভিন্ন পেশায়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ব্রা‏হ্মনপাড়া উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের পাল পরিবারের অনেক লোকই মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। এরা সংসারের নৈমিত্তিক কাজে ব্যবহৃত মাটির পাতিল, কলসি, সানকি, বদনা, ঢাকনা ও বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী সহ ঘর সাজানোর অসংখ্য উপকরন তৈরী করতেন। শিল্পক্ষেত্রে যান্ত্রিক সভ্যতা বিকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে

এখানকার মৃৎ শিল্পীরা বিলুপ্ত হতে চলেছে। প্রায় সবার পেশা বদলাতে শুরু করেছে। উপজেলা ষাইটশালা ৩৫-৪০টি পরিবার এখনও জড়িত রয়েছে এই শিল্পের সাথে। শিল্প হিসেবে এরা রক্ষা করতে চায়না, এরা জীবিকা অর্জনের পেশা হিসেবে সাফল্য চায়। পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য রক্ষা করতে গিয়ে অনেকেই এই পেশা বদল করে নতুন পেশায় পাড়ি জমিয়েছে। যারা এখনও এই পেশায় আছে বর্তমানে তাদের দিনকাল ভাল কাটছে না। উপজেলা ষাইটশালা গ্রামের গনেশ পাল (৫০) এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বংশানুক্রমে তারা এ পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। আবার সুনিল পাল জানায় আগের মত মৃৎ শিল্পের এত চাহিদা নেই। চাহিদা থাকলেও কাচামাল দ্বিগুন দামে কিনতে হচ্ছে। যা বিক্রয় মূল্যের প্রায় সমায়। কষ্ট করে মাটির জিনিষপত্র তৈরী করে বিক্রয়ের পর লাভ থাকেনা। এক সময়কার সানকী সভ্যতায় অভ্যস্ত অনেক বয়স্করা এখনও সানকী ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দবোধ করে। অনেকেরই ধারণা সানকীকে ভাত খেলে পেটে গ্যাষ্ট্রিক হয়না। পরিবেশ বান্ধন মৃৎ শিল্পের চাহিদা অনেকের কাছে ঘর সাজানো ঐতিহ্য হিসেবেই পরিচিত। এসব কারনে অনেক মৃৎ শিল্পী তাদের পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্য পেশায় । ফলে শিল্পের সাথে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎ শিল্পীরাও # ইসমাইল নয়ন, ব্রা‏হ্মনপাড়া (কুমিল্লা) #

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান